দেশে ডুপ্লেক্স ও বিলাসবহুল বাসস্থানের চাহিদা বেড়েছে। মানুষের আয় বাড়লে বাড়ে জীবনযাত্রার মান। আয়েশি জীবনযাপন থেকে মানুষ আগায় বিলাসবহুলতার দিকে। গেল এক দশকে বাংলাদেশের মানুষের আয় বেড়েছে। আর বেড়ছে জীবনযাত্রার মান। মানুষ এখন আয়েশি জীবনযাপনের পাশাপাশি বিলাসবহুলতার দিকে ঝুঁকছে।
তাতে করে গত দশকে বাংলাদেশে ডুপ্লেক্স বাড়ির চাহিদা অনেক বেড়েছে। একটা পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিলেই সেটা আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালে দেশে আবাসন খাতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে কেবল ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণের জন্যই বিনিয়োগ হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর তথ্যমতে, গেল এক দশকে বিভিন্ন ডুপ্লেক্স বাড়ির প্রকল্পে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে সবেচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে।
ডুপ্লেক্স বাড়ি কাকে বলে?
সাধারণত, দুই ইউনিটের বিল্ডিংকে ডুপ্লেক্স বলা হয়। সেখানে দুটি ইউনিট পাশাপাশি থাকতে পারে অথবা উপর-নিচে দুটি ফ্লোরেও থাকতে পারে। বাংলাদেশে অবশ্য দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ির চাহিদাই বেশি। প্রতিটা ডুপ্লেক্স বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। সামনে থাকে সুন্দর সুন্দর বাগান। এই ডুপ্লেক্স ভবনগুলো নগরের আকাশছোঁয়া অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের একেবারেই উল্টো। যে কারণে সম্প্রতি খোলামেলা ও আরামদায়ক বাড়ির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে ধনী ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের।
ভিআইপি আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত বা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমিগুলোতেও ডুপ্লেক্স প্রজেক্ট করতে দেখা যাচ্ছে। আবার বিলাসযাপনের উদ্দেশ্যে বানানো বাড়িগুলোতেও এসেছে ভিন্নতা। সমসাময়িক ডিজাইনে তৈরি বাড়ি অথবা বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স— এক একজনের পছন্দ থাকে এক এক রকম।
পিটুপি হতে পারে আপনার আস্থার সঙ্গী:
হোক বিলাসবহুল বা সাধারণ ডিজাইন— এমন সুক্ষ্ম স্থাপত্যশৈলীর প্রজেক্টগুলোর জন্য যথোপযুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য কাউকে খুঁজে নেয়া সত্যিই কঠিন হয়ে পরে। যদিও বাংলাদেশে বহু ডেভেলপার কোম্পানি রয়েছে, তবুও বাংলাদেশের বাইরে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা অর্থাৎ প্রবাসীরা তাদের স্বপ্নের বাড়ি তৈরির দায়িত্ব দেশের কোন কোম্পানিকে দিবেন সেটা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন।
তাদের জন্য সহজ সমাধান হচ্ছে দেশের অন্যতম নামকরা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি পিটুপি (প্লান টু পারফেকশন)। কোন রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই পিটুপি নিখুঁতভাবে তৈরি করবে আপনার স্বপ্নের বাড়িটি। অসাধারণ ইউনিক সব ডিজাইন, গুণগত ও মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী এবং সেই সাথে প্রযুক্তিগত কলাকৌশলে পারদর্শী কমিউনিকেশন টিমের সমন্বয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশের কাস্টমারদের জন্যও পিটুপি হলো নিশ্চিত সমাধান। পিটুপি’র ভিক্টোরিয়ান স্টাইল ডুপ্লেক্স বাড়ি আপনাকে দিবে মোগল স্থাপত্য আর আভিজাত্যের ছোঁয়া।
বিলাসযাপন বাড়ি কিংবা অবকাশযাপন বাড়ি হলো এমন একটি স্থান যেখানে শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে দূরে মানুষ একটু নীরিবিলি, ভাবনাহীন প্রশান্তিময় সময় কাটাতে, একটু শান্তির খোঁজে যায়। অবকাশযাপন বাড়ির আরামদায়ক পরিবেশ আমাদের মনকে নির্মলতায় আর শান্তিতে পরিপূর্ণ করে দেয়। ব্যস্ত শহর থেকে দূরে, শান্তিপূর্ণ একটা পরিবেশে, প্রকৃতির নির্জনতার মাঝে থাকবে একটা ভিক্টোরিয়ান স্টাইল ক্লাসিক বাড়ি। গতানুগতিক বিলাসিতার সাথে থাকবে প্রকৃতির সৌন্দর্য আস্বাদনের সুযোগ।
এসব দিক বিবেচনায় রেখেই তৈরি করা হয় ভিক্টোরিয়ান স্টাইলের বাড়ি। যেটার এক্সটেরিয়র ও ইন্টেরিয়রে থাকে আভিজাত্য ও ঐতিহাসিক ছোঁয়া। ভিক্টোরিয়ান স্টাইলে বানানো বাংলো বাড়িগুলো সাধারণত দ্বিতল হয়। ক্লাসিক্যাল ডিজাইন ধরে রাখার জন্য বাড়ির মূল কাঠামো ও ল্যান্ডস্কেপে সিমেট্রিক ধারা মেইন্টেন করা হয়। সবুজ লন ও ঝর্ণাসহ ল্যান্ডস্কেপের সৌন্দর্যবর্ধনের সকল উপাদান জ্যামিতিকভাবে বসানো হয়। বাড়ির এক্সটেরিয়র অংশে সম্পূর্ণরুপে আধুনিক ভিক্টোরিয়ান স্টাইলেরই প্রতিচ্ছবি থাকে। বিলাসবহুল ও আভিজাত্যপূর্ণ দর্শন, বাড়িটির প্রবেশ পথের সুসজ্জিত কলাম, কেন্দ্রীয় গম্ভুজের আলোকসজ্জা বাড়িটিকে কাছাকাছি থাকা যেকোন বাড়ির চেয়ে আলাদা করে তুলে।
ইন্টেরিয়রে গাঢ় ও সমৃদ্ধ রঙের ব্যবহার, সাথে জমকালো প্রিন্ট- ভিক্টোরিয়ান স্টাইলের বাড়ি তৈরির পূর্বশর্ত। ফ্লোরে থাকে প্যাটার্নযুক্ত ফ্লোর টাইলস আর বাড়িতে ব্যবহৃত গ্লাস হয় খোদাই করা বিভিন্ন ডিজাইনের। বাড়িটি থাকবে ভারী ডিজাইনের ফার্নিচারে পূর্ণ। বাটন ব্যাক আর্মচেয়ার, সোফা, অটোম্যান— সাধারণত এ ধরণের বাড়িতে আভিজাত্যের ছোঁয়া দেয়। এ ধরণের বাড়ি সাধারণত সুসজ্জিত করে বানানো হয়। বাড়ির ইন্টেরিয়র ও এক্সটেরিয়রের পুরো অংশই থাকে সুসজ্জিত।
এই ধরনের একটি বাড়িকে পরিপূর্ণতা দিতে পিটুপি’র প্রকৌশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য কলাকুশলীরা নিরলস পরিশ্রম করেন। যার ফলে এই ধরণের ব্যক্তিগত প্রজেক্টগুলো সাধারণত ৮ থেকে ১২ মাসের মধ্যেই পিটুপি হস্তান্তর করতে পারে। পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য থাকে ওয়ান স্টপ সল্যুশন সার্ভিস। বাহ্যিক নকশার এই প্রজেক্ট হলো পিটুপি’র সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যের একটি নমুনা।