চট্টগ্রামে এই সময়ে আবাসন শিল্পের সম্ভাবনা ও সঙ্কট
আবাসন শিল্প বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে একটি অতি সম্ভবনাময় খাত। দেশের বৃহৎ গার্মেন্টস শিল্পের পর আবাসন শিল্পের বিনিয়োগ। একটি দেশের প্রতিটি শহরকে নান্দনিক এবং স্মার্ট আধুনিক শহরে পরিণত করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিক রয়েছে আবাসন শিল্পের। বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা বেসরকারী সবচেয়ে বড় উদ্যোক্তা হিসেবে আধুনিক নগরায়নে ভূমিকা রাখেন।
আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছি। সরকারের নানামুখী ইতিবাচক উদ্যোগ, অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতির ফলে আমাদের জিডিপি’র হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের মাথাপিছু আয়। এর প্রেক্ষিতে স্বাভাবিক কারনেই আবাসন শিল্পে সম্ভাবনা বাড়ছে এবং বাড়বে। তাই এই সময়টাতে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।
আবাসন শিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও কিছু বিষয় এই খাতে সঙ্কট তৈরি করে রেখেছে। বিশেষ করে উচ্চ সুদের ব্যাংক ঋন, আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ, বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে দীর্ঘ সূত্রিতা, অতিমাত্রায় রেজিস্ট্রেশন ফি এই খাতের সম্ভাবনাকে এগুতে দিচ্ছেনা। বিশে^র বিভিন্ন দেশের আবাসন শিল্পের ব্যাংক ঋনে সুদের হার যেখানে ৪% থেকে ৫% সেখানে আমাদের দেশে সেটি প্রায় ১৪%। অপরদিকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও আবাসন শিল্পে গ্যাস সংযোগ মিলছেনা। এটি আবাসন শিল্পের বিকাশকে থামিয়ে রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে অব্যাহত এবং অস্বাভাবিকভাবে নির্মান সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিও এই শিল্পের কিছুটা সঙ্কট তৈরি করছে।
পরিকল্পিত চট্টগ্রাম গড়তে আবাসন প্রতিষ্ঠান হিসেবে উইকন প্রপার্টিজের পরিকল্পনা
পিটুপি’র মূল থিমটাই হচ্ছে ‘পরিকল্পনা থেকে পরিপূর্ণতা’। আর সেই থিমের পূর্ণাঙ্গ কার্যকারীতা রয়েছে পিটুপির প্রতিষ্ঠান ‘উইকন প্রপার্টিজে’। আমরা দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি এবং স্বয়ং সম্পুর্ণতা অর্জন করেই আবাসন শিল্পে এসেছি। মূল পরিকল্পনা হচ্ছে আমরা এমন অবকাঠামো নির্মান করতে চাই যেখানে আমাদের এক একটি ভবন পরিকল্পিত নগরের অংশ হবে। আমাদের প্রতিটি প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরকে স্মার্ট সিটি গড়তে সহায়তা করবে। সুশোভিত সবুজ বেস্টিত, সমুদ্র উপকূলে আমাদের পর্যটন শহর চট্টগ্রাম। এই শহর শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও সুপরিচিত। তাই এই শহরের সবুজ সমৃদ্ধিতে অটুট রেখে এবং সবুজকে প্রাধান্য দিয়েই প্রকল্প নির্মান করছি। আমরা চাই আমাদের প্রকল্প হবে আধুনিক চট্টগ্রামের অনুষঙ্গ।
অন্য আবাসন প্রতিষ্ঠানের চেয়ে উইকন ব্যতিক্রম কেনো?
শুধুমাত্র চট্টগ্রামে নয়, উইকন প্রপার্টিজ সারা দেশের মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ এবং স্বয়ং সম্পুর্ণ আবাসন কোম্পানি। পাঁচটি বৈশিষ্ট অন্যদের চেয়ে আমাদের আলাদা করেছে। এই বৈশিষ্টগুলো হলো (১) উইকনের আছে আন্তর্জাতিক মানের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টিম (২) পরিকল্পনাকে পরিপূর্ণতায় রূপ দিতে উইকনের আছে ৩০+ স্থপতি এবং ৫০+ প্রকৌশলীর এক বিশাল টিম (৩) উইকনের আছে ইনহাউজ কনস্ট্রাকশন এন্ড ফিনিশিং ম্যাটেরিয়ালস (৪) উইকনের আবাসিক বা বাণিজ্যিক প্রকল্পসমূহে কোন হিডেন স্কয়ার ফিট নেই (৫) এমাজিং ফ্লোর লে-আউট এবং অনটাইম হ্যান্ডওভার (৬) উইকনের রয়েছে ইনহাউজ লিগ্যাল এবং ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট। উইকন প্রপার্টিজের এই বৈশিষ্টগুলোই আবাসন শিল্পে উইকনকে স্বয়ংসম্পুর্ণতা দিয়েছে। অন্যদের চেয়ে ব্যাতিক্রম করেছে।
প্রকল্প গ্রহনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয় উইকন?
প্রকল্প গ্রহনের ক্ষেত্রে প্রধানত যে বিষয়গুলোকে উইকন প্রাধান্য দিয়ে থাকে তার মধ্যে প্রধানত নাগরিক সুবিধা, লোকেশন, জমির পরিমাণ এবং সর্বপরি এই প্রকল্পটি একজন গ্রাহককে কতোবেশি সুবিধা দেয়া যাবে। পরিকল্পিত নগরায়নে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে কি-না। আধুনিক নাগরিক সুবিধা দেওয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করেই আমরা প্রকল্প গ্রহন করে থাকি।
নিরাপত্তা ঝুঁকি বিশেষ করে অগ্নিঝুঁকি রোধে উইকন প্রপার্টিজের প্রকল্পে বিশেষ ব্যবস্থা
উইকন প্রপার্টিজ প্রতিটি প্রকল্পেই অগ্নিঝুঁকিসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। বিশেষ করে বিশে^র সর্বশেষ আধুনিক অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকে আমাদের প্রকল্পসমূহে। আর ৬ থেকে ১০ তলার ভবনগুলোতে প্রতিটি ফ্লোরে ফায়ার হাইড্রেন্ট, ফায়ার এস্ট্রেংগুইশার এবং আলাদা করে টপ ফ্লোর এবং গ্রাউন্ড ফ্লোরে ফায়ার ট্যাংক থাকে। এ ছাড়া পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ভুমিকম্প প্রতিরোধের সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় উইকনের প্রকল্প সমূহে।
ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয়তাঃ
আমরা শুধুমাত্র ব্যবসা করে মুনাফা করবো এমন মানষিকতা নিয়ে কাজ করি না। সমাজের জন্য এই সমাজের জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের এই সময়ের তারুণ্যকে দিক নির্দেশনা দিতে এবং তাদের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে ক্যারিয়ার ফেস্ট-এর আয়োজন করে আসছি। তরুনদের নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ওয়ার্কশপ আয়োজন করে থাকি নিয়মিত। আমরা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষিত তরুনদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে কাজ করছি। সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় আমরা দুর্যোগ দুর্বিপাকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকি সেবার ব্রত নিয়ে। বিগত করোনাকালে কর্মহীন মানুষের পাশে ছিলো পিটুপি ও উইকন প্রপার্টিজ।